Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জেলা প্রশাসনের পটভূমি

সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলাদেশের উত্তর পূর্ব প্রান্তে সিলেট অবস্থিত। প্রাচীন বঙ্গভূমির অংশ হিসেবে সিলেট অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে আইন ই আকবর ওরিয়াজ উস সালাতিন প্রভৃতি পারস্য প্রন্থে উল্লেখ আছে। ভক্তি রত্নাকার নামকগ্রন্থে দেখা যায় বঙ্গদেশ বলতে পূর্ববঙ্গ প্রধানত সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা প্রভৃতি বুঝায়। আসাম প্রদেশ মূলত ০৩(তিন) ভাগে বিভক্ত ছিল। তন্মধ্যে সুরমা উপত্যকা সিলেট ও কাছাড় জেলা নিয়ে গঠিত ছিল। প্রাচীনকালে শ্রীহট্ট (বর্তমান সিলেট) তিনভাগে বিভক্ত ছিল। এগুলো হল লাউড়, গৌড়, জৈন্তিয়া। মুসলিম শাসনকালে সিলেট ব্যাপকবভাবে বিস্তৃত ছিল।তখন সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ময়মনসিংহের প্রতাপগড়, বানিয়াচং, বাজুয়া, জৈন্তিয়া, হাবিলি, সতর খেল, লড়িড, হবিনগর এই আট ভাগে বিভক্ত ছিল।

খ্রিষ্টীয় ১২ শতকে সিলেট গৌড় গোবিন্দ নামক হিন্দু রাজার শাসনাধীন ছিল।১৩৮৪ সালে হযরত শাহজালাল(র:), সিপাহসালার নাসিরউদ্দিন, সিকান্দর গাজীপ্রমুখ সহ ৩৬০ আউলিয়া সহ সিলেট জয় করেন। এ সময় বঙ্গ দেশের অধিপতি ছিলেন ২য় শামসুদ্দিন। সম্রাট আকবরের সময় সুবা বাংলার ১৯ টি সরকারের মধ্যে শ্রীহট্ট অন্যতম। এরপর নরনারায়ন (১৫৪০), অমর মানিক্য (১৫৯৭) সিলেট দখল করলেও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ১৭৫৭ সালে ব্রিটিশরা এদেশ দখল করলেও ১৭৬৫ সালে শ্রীহট্ট ইংরেজদের করায়ত্ত হয়। এ সময় প্রথাগতভাবে মুসলিম রাজারা কিছুদিন শাসনকার্য চালান। অতঃপর সিলেটকে জেলার ঘোষণা করে ইংরেজগণ এর কর্তৃত্ব দখল করে। প্রথম কালেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন মিঃ উইলিয়াম থ্যাকারে। ভারত বিভক্ত হবার সময় সিলেট জেলা ৫ টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। এগুলো হলো সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও করিমগঞ্জ। ১৯৪৭ সালে গণভোটের মাধ্যমে করিমগঞ্জের জনগণ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সাথে থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করার পরও রেডক্লিফ সীমানা নির্ধারনী প্রতিবেদনের কারণে করিমগঞ্জ ভারতের আসামের সাথে যুক্ত হয়।

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটের জনগনও ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশ স্বাধীন হবার পর চারটি মহকুমা নিয়ে সিলেট জেলার কার্যক্রম চালিত হয়। ১৯৮৪ সালে সিলেট জেলার চারটি মহকুমাকে পৃথক জেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

১১টি উপজেলা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে ১৩টি উপজেলা নিয়ে সিলেট জেলা কাজ করে যাচ্ছে।