বিদ্যালয়টি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার একটি প্রাচীন জনপদ আঙ্গারজুর গ্রামে মনোরম পরিবেশে ২৪ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়টিতে ২টি পাকা ভবন ও ১টি আদাপাকা গৃহ, ৫টি শ্রেণী কক্ষ ১টি অফিস কক্ষ, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র, ১টি আর্সেনিক মুক্ত গভীর নলকূপ, ১২টি বৈদ্যুতিক পাখা, ১টি পানির পাম্প, ১টি পানির ট্যাংকসহ পানির সরবরাহের সু-ব্যবস্থা, ২টি স্যানিটারী ল্যাট্রিন, ১টি ফুলের বাগান ও চারপাশে বিভিন্ন জাতের গাছপালা রয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ওযার্ড কমিটি, শিক্ষক ও অভিভাবক কমিটি, উন্নয়ন কমিটি, ম্যানেজিং কমিটি, স্লিপ কমিটি, সামাজিক মুল্যায়ন কমিটি, টাস্ক ফোর্স কমিটি, কাব স্কাউটিং সংক্রান্ত কমিটি ও স্টুডেন্টস কাউন্সিল ইত্যাদি কমিটি/ সংস্থা রয়েছে। |
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার মান ভাল। এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার দিকে সব সময় নজর রাখেন। বিদ্যালয়ের জমির স্বল্পতা লাঘবের জন্য প্রথমে জনাব ছইদ আলী এবং তারপর তাঁর ছেলে জনাব মোঃ আব্দুল খালিক, সাং-আঙ্গারজুর, ডাক-বৈরাগী বাজার, বিয়ানীবাজার, সিলেট পর্যাপ্ত জমি দান করেন। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অনেক ছাত্র-ছাত্রী রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পদে আসিন ছিলেন। যেমন- জনাব সুধীর চন্দ্র পাল, (এম.সি, কলেজ, সিলেট এর বাংলা বিভাগীয় প্রধান ছিলেন), জনাব মাওলানা আব্দুল মান্নান ও মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, (প্রাপ্তন শিক্ষক, সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা), জনাব প্রফেসর শামছুল হুদা, রেজিষ্ট্রার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট (অবসরপ্রাপ্ত) ও জনাব মোঃ আকমল হোসেন, প্রাক্তন ম্যানেজার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিলেট। বর্তমানে অনেক দেশে ও দেশের বাহিরে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন।
শ্রেণী | ছেলে | মেয়ে | মোট |
প্রাক প্রাথমিক | ১৪ | ০৮ | ২২ জন |
প্রথম শ্রেণী | ১৭ | ১১ | ২৮ জন |
দ্বিতীয় শ্রেণী | ১৭ | ১৬ | ৩৩ জন |
তৃতীয় শ্রেণী | ১৫ | ১১ | ২৬ জন |
চতুর্থ শ্রেণী | ১৪ | ০৭ | ২১ জন |
পঞ্চম শ্রেণী | ০৮ | ১১ | ১৯ জন |
জনবল সংক্রান্ত তথ্যঃ
শ্রী মঞ্জু মোহন দাস-দপ্তরী কাম প্রহরী
যোগদানের তারিখৰ ০১/০২/২০১৪ইং
নং | নাম | ক্যাটাগরি | পদবী |
১ | মোঃ আব্দুল খালিক | দাতা | সভাপতি |
২ | হাজী মোঃ আব্দুর রহমান | শিক্ষানুরাগী | সহ-সভাপতি |
৩ | মোঃ এনামুল মজিদ | শিক্ষক প্রতিনিধি (মাধ্যমিক) | সদস্য |
৪ | মোছাঃ আঙ্গুরা বেগম | মহিলা শিক্ষানুরাগী | সদস্যা |
৫ | মোঃ আকবর হোসেন | পুরুষ অভিভাবক | সদস্য |
৬ | কয়েছ আহমদ | ওয়ার্ড মেম্বার | সদস্য |
৭ | ঝর্ণা বেগম | শিক্ষক প্রতিনিধি (সংশ্লিষ্ট বিদ্যাঃ) | সদস্য |
৮ | মোহাম্মদ মাসুদ আহমদ | প্রধান শিক্ষক | সদস্য সচিব |
৯ | জুবের আহমদ | পুরুষ অভিভাবক | সদস্য |
১০ | আয়েশা হোসেন | শিক্ষানুরাগী মহিলা | সদস্য |
১১ | সকিয়া বেগম | মহিলা অভিভাবক | সদস্য |
সমাপনী পরীক্ষার ফল | |
সাল | পাশের হার |
২০০৯ | ৯১% |
২০১০ | ৭৯% |
২০১১ | ৯৭% |
২০১২ | ৮৪% |
২০১৩ | ১০০% |
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৩ ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১২ প্রদান উপলক্ষে সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার উল্লেখ যোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হছেছে এ ধরনের বিদ্যালয় বিষয়ে আঙ্গারজুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১২ অর্জন করেছে। ১টি সনদ পত্র ও ১টি ক্রেস্ট প্রাপ্ত বিদ্যালয় আঙ্গারজুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সমাপনী পরীক্ষায় পাশের হার শতভাগ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি শতভাগ এ+ নিশ্চিত করা। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করা, কাব স্কাউটিং জোরদার করা এবং শাপলা এ ওয়ার্ড লাভ করা। তাছাড়া সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিদ্যালয় মুখী করা। আগামীতে বিদ্যালয়টি ৮ম শ্রেণীতি উন্নীত করন এবং একটি আবাসিক আদর্শ বিদ্যালয়ে পরিণত করা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য সংগীত শিক্ষার ও শিক্ষকের ব্যবস্থা করা এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা, একটি পাঠাগার, চারপাশের প্রাচীর নির্মার্ণ ও একটি তোরণ নির্মাণ এর পরিকল্পনা রয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম। উপজেলা সদর হইতে সাড়ে আট কিঃ মিঃ উত্তরে এবং কুশিয়ারা নদীর দক্ষিণে। সিলেট সদর থেকে বেয়াল্লিশ কিঃ মিঃ পূর্বে অবস্থিত। পায়ে হেটে কিংবা যে কোন ধরনের যানবাহন যোগে অতিসহজে বিদ্যালয়ে যাতায়ত করা যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস