চা বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎসও হচ্ছে চা। ১৮৫৪ সালে মালনীছড়া চা বাগান দিয়ে বাংলাদেশে চা শিল্পের গোড়াপত্তন হয়। বর্তমানে সিলেট জেলায় মোট চা বাগানের সংখ্যা : ২০ টি (১টি রুগ্ন)।
উপজেলাওয়ারী বাগানঃ
সিলেট সদর উপজেলাধীন: ১. লাক্কাতুরা, ২. মালনীছড়া, ৩. আলীবাহার, ৪. ডালিয়া, ৫. খাদিম, ৬. বুরজান, ৭. তারাপুর (মোট ৭টি)।
জৈন্তাপুর উপজেলাধীন: ১. লালাখাল, ২. হাবিবনগর, ৩. আফিফানগর, ৪. শ্রীপুর, ৫. খান, ৬. দি মেঘালয় টি এস্টেট (মোট ৬টি)।
গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন: ১. ফতেহপুর, ২. জাফলং (মোট ২টি)।
কানাইঘাট উপজেলাধীন : ১. লোভাছড়া, ২. ডোনা (মোট ২টি)।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাধীন: ১. মনিপুর, ২. মোমিনছড়া, ৩. ডালুছড়া (মোট ৩টি)।
চা বাগানসমূহের মোট জমির পরিমাণ: ২৮০২০.৭৬ একর।
বাগানসমূহ হতে বছরে উৎপাদিত চা এর পরিমাণ : ১৮,২৪২ কেজি (প্রায়)।
ইজারা সংক্রান্ত:
পূর্বে ইজারাকৃত চা বাগানের সংখ্যা: ৯টি
বাগানগুলো হচ্ছে : ১. লাক্কাতুরা, ২. মালনীছড়া, ৩. আলীবাহার, ৪. লালাখাল, ৫. হাবিবনগর, ৬. আফিফানগর, ৭. মনিপুর, ৮. মোমিনছড়া এবং বুরজান।
নবায়নকৃত চা বাগানের সংখ্যা: ০৭ টি
বাগানগুলো হচ্ছে : ১. লাক্কাতুরা, ২. মালনীছড়া, ৩. হাবিবনগর, ৪. মনিপুর, মালনীছড়া, ৬. আলী বাহার এবং ৭. বুরজান।
নতুনভাবে ইজারার আওতাধীনচা বাগানের সংখ্যা : ৭টি
বাগানগুলো হচ্ছে: ১. শ্রীপুর, ২. জাফলং, ৩. খাদিম, ৪. লোভাছড়া, ৫. ফতেহপুর, ৬. খান এবং ৭. দি মেঘালয় টি এস্টেট।
বর্তমানে ইজারাবিহীন চা বাগানের সংখ্যা: ৩টি
১. তারাপুর (দেবোত্তর সম্পত্তি ও মামলাভুক্ত),
২. ডালিয়া (২৮.৭৩ একর মামলাভুক্ত) এবং
৩. ডালুছড়া (৫৫৭১/০৪ রিট মামলাসহ অন্যান্য মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যমত্ম ইজারা প্রদান না করার জন্য চা বোর্ডের সুপারিশ রয়েছে।)
রুগ্ন ও পরিত্যক্ত বাগান : ডোনা (১টি)।
চা বোর্ডের ২৭.১১.২০০২ তারিখের ৪১৫(১৯)/ভূমি-৫/ভূমি নিয়ন্ত্রণ-২ নং স্মারক মূলে বাগানটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
ইজারা চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে: ১১টি
বাগানগুলো হচ্ছে : ১. শ্রীপুর, ২. জাফলং, ৩. হাবিবনগর, ৪. মালনীছড়া, ৫. লাক্কাতুরা, ৬. খাদিম, ৭. লোভাছড়া, ৮. ফতেহপুর, ৯. বুরজান, ১০. আলী বাহার এবং ১১. মনিপুর।
ইজারার প্রসত্মাব মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় : ০১ টি (আফিফানগর)
মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেছে এবং ইজারা দলিল সম্পাদনে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন: ০২ টি
বাগানগুলো হচ্ছে : ১. লালাখাল এবং ২. খান।
নবসৃষ্ট বাগান: ১টি (জৈন্তাপুর উপজেলাধীন দি মেঘালয় টি এষ্টেট)।
সিলেট জেলায় চা বাগানের মোট জমির পরিমাণ : ২৯,৭৪৪.৭৮ একর।
চা বাগানসমূহ হতে বার্ষিক গড় উৎপাদিত চা এর পরিমাণ : ১৮,২৪২ কেজি (প্রায়)।
চা বোর্ড কর্তৃক শ্রেণীবিন্যাসকৃত চা বাগান:
সাময়িক সনদ প্রদান করা হয়েছে: ১টি (দি মেঘালয় টি এস্টেট)।
চা বোর্ড হতে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো শ্রেণী বিভাজন করা হয়নি: ২টি
বাগানগুলো হচ্ছে : ১. তারাপুর (দেবোত্তর সম্পত্তি) এবং ২. ডোনা (পরিত্যক্ত)।
‘এ’ শ্রেণীভূক্ত: (প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ১২৫০ কেজি বা তার বেশি, ইজারার মেয়াদ-৪০ বছর)
মোট বাগানের সংখ্যা ০৭ টি। বাগানগুলো হচ্ছে : ১. মালনীছড়া, ২. বুরজান, ৩. আফিফানগর, ৪. লালাখাল, ৫. হাবিবনগর, ৬. খান, ৭. মণিপুর।
‘বি’ শ্রেণীভূক্ত: (প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ৯৫০ কেজি বা তার বেশি, ইজারার মেয়াদ-৩০ বছর)
মোট বাগানের সংখ্যা ০২ টি। বাগানগুলো হচ্ছে : ১. জাফলং, ২. মোমিনছড়া।
‘সি’ শ্রেণীভূক্ত: (প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ৯৪৯ কেজির কম, ইজারার মেয়াদ-২০ বছর)
মোট বাগানের ০৮ টি। বাগানগুলো হচ্ছে : ১. লাক্কাতুরা, ২. আলীবাহার, ৩. খাদিম, ৪. শ্রীপুর, ৫.ফতেহপুর,
৬. লোভাছড়া, ৭. ডালুছড়া ৮. ডালিয়া।
চা বাগানের সাফল্য:
২০০৭ সালের পর হতে চা বাগানের ইজারা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাস, চা বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাগানসমূহ ইজারার আওতায় আনার লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, সিলেট বিগত দুই বছরে চা বাগানের ইজারা বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে সরকারের রাজস্ব খাতে আয়ের এক অভূতপূর্ব সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। উল্লেখ্য যে, সিলেট জেলার ১৯ টি চা বাগানের মধ্যে ১৬ টি চা বাগানের ইজারা/ ইজারা নবায়নের আওতায় আনা হয়েছে। তাছাড়াও ইজারাবিহীন ০৭টি চা বাগানকে নুতনভাবে ইজারার আওতায় আনা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ০৩টি চা বাগানকে ইজারার আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস